জাতের নামঃ |
বিনাসরিষা-৭ |
জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ |
জাতটি অল্টারনারিয়াজনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ মধ্যম প্রতিরোধী; ভারী বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা সহনশীল; মাটির অতিরিক্ত আর্দ্রতায় চাষবিহীন জমিতে বপনযোগ্য; নাবিতে বপনযোগ্য; ৬-৮ ডিএস/মি. মাত্রার লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য। |
অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ |
গাছের উচ্চতা ১৫০-১৭০ সে.মি.; প্রাথমিক শাখার সংখ্যা ৩-৫টি; বীজের আকার তুলনামূলকভাবে বড় এবং ১০০০ বীজের ওজন ৩.৫০-৪.২৫ গ্রাম; বীজে তেলের পরিমাণ ৪০%। |
জীবনকালঃ |
১০২-১১০ দিন |
সর্বোচ্চ ফলনঃ |
২.৮ টন/হেক্টর (৩০ মন/একর) |
গড় ফলনঃ |
২.০ টন/হেক্টর (২২ মন/একর) |
জমি ও মাটিঃ |
সব ধরণের জমিতে চাষ করা যায় তবে বেলে দো-আঁশ হতে এটেল দো-আঁশ মাটিতে জাতটি ভাল জন্মে। |
জমি তৈরিঃ |
৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে যাতে বড় বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। |
বপনের সময়ঃ |
সাধারণত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে মধ্য নভেম্বর (কার্তিকের দ্বিতীয় হতে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত এ জাতের সরিষা বপন করার উপযুক্ত সময়। তবে নাবিতে বপনযোগ্য বিধায় ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ (পৌষের প্রথম সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপন করলেও সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়। |
বীজের হারঃ |
একর প্রতি ২.৮-৩.০ কেজি বীজ ছিটিয়ে বা ২.২০-২.২৫ কেজি বীজ ১০-১২ ইঞ্চি (২৫-৩০ সে.মি.) দূরত্বে সারিতে বপন করতে হবে। |
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ |
কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে সারের মাত্রা কম-বেশি হয়। তাই সাধারণভাবে একর প্রতি ইউরিয়া ৮০-৯০ কেজি, টিএসপি ৭০-৮০ কেজি, এমওপি ৪৫-৫৫ কেজি, জিপসাম ৫০-৬০ কেজি, জিংক সালফেট ৪ কেজি এবং বরিক এসিড ৩ কেজি বা বোরাক্স সার ৫ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে। অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের পূর্বে প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া ফুল আসার আগে অর্থ্যাৎ বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। |
সেচ ও নিস্কাশনঃ |
মাটিতে রসের অভাব হলে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর প্রথম সেচ এবং প্রয়োজনে ফুল ফোঁটা শেষ হলে দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। তবে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন নেই। |
আগাছা দমন এবং মালচিংঃ |
চারা গজানোর ১৫-২০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিস্কার করতে হবে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফেলতে হবে। |
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ |
বিনাসরিষা-৭ অলটারনারিয়াজনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগের প্রতি মধ্যম প্রতিরোধী। তবে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রতি লিটার পানিতে ২-৩ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউপি ৮-১০ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে। জাবপোকার আক্রমণ হলে ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২.০ মি.লি. হিসাবে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। |
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন তেল ফসল বিশেষজ্ঞ |
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা) কল করুনঃ +৮৮-০১৭২০৫৮৫১২৪ ই-মেইলঃ emonbina@yahoo.com
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী ড. রেজা মোহাম্মদ ইমন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২ ----- |
বিনাসরিষা-৭