Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd জুন ২০২৫

বিনাধান-২৪

জাতের নামঃ

বিনাধান-২৪

 

 

জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

গাছ খাটো (৯৫-৯৭ সেমি) ও খাড়া হওয়ায় হেলে পড়ে না, গাছ শক্ত ও বলিষ্ঠ। ডিগপাতা খাড়া, মোটা এবং পরিপক্ক অবস্থায়ও গাছ সবুজ থাকে। জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন। ধানের দানা লম্বা ও মাঝারি চিকন, ১০০০ ধানের ওজন ২৭.৫ গ্রাম। গড় ফলন ৬.৫ টন/হেক্টর। বিনাধান-২৪ একটি উচ্চফলনশীল জাত যা বোরো মৌসুমে সারা দেশে চাষের জন্য অনুমোদিত।

 

 

জমি ও মাটিঃ

এই জাতের জন্য বেলে দোঁআশ বা কাদামাটিযুক্ত দোঁআশ এবং মাঝারি ও মাঝারি উঁচু জমি উপযোগী।

 

 

জমি তৈরিঃ

২-৩ বার চাষ দিয়ে প্রয়োজনীয় পানিসহ মই দিতে হবে মাটি সুষ্ঠুভাবে কাদা করার জন্য। প্রথম চাষের পর জমি কমপক্ষে ৭ দিন পানির নিচে রাখতে হবে যেন আগাছা ও খড়কুটো পচে যায়।

 

 

বপণের সময়ঃ

নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ (অগ্রহায়ণের ১ম হতে দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত।

 

 

বীজ হারঃ

২৫-৩০ কেজি/হে. বা ১০-১২ কেজি/একর।

 

 

বীজ শোধনঃ

উত্তম অঙ্কুরোদ্গমের জন্য বীজ বপনের আগে ১-২ দিন রোদে শুকানো উচিত। এছাড়া প্রতি কেজি বীজ ২.৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স-২০০ ডব্লিউপি অথবা ১.৫ গ্রাম অটোস্টিন-৫০ ডব্লিউডিজি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে তাতে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর বীজ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ছায়াযুক্ত ঠান্ডা জায়গায় শুকাতে হবে।

 

 

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

প্রতি হেক্টরে: ইউরিয়া- ২৩০-২৫০ কেজি, টিএসপি- ১১০-১২০ কেজি, এমওপি- ৬০-৮০ কেজি, জিপসাম- ৪৫-৫০ কেজি, জিংক সালফেট- ৩-৪ কেজি। রোপণের ক্ষেত্রে ইউরিয়া সারের অর্ধেক ও এমওপি সারের শেষ চতুর্থাংশ রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর মধ্যে জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে।

 

 

সেচ ও নিষ্কাশনঃ

রোপণের পর জমিতে ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে এবং সময়ের সাথে সাথে তা ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। তবে ধান পাকতে শুরুর ১০-১২ দিন আগে জমির পানি নিষ্কাশন করতে হবে।

 

 

আগাছা দমন ও মালচিংঃ

২ থেকে ৩ বার আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

 

 

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ

পোকামাকড় বা রোগবালাই দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাজরা পোকা ও পাতামোড়ানো পোকার কার্যকর দমনে করাজেন ৩ মি.লি. অথবা ভির্তাকো (ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল গ্রুপ) ১.৫ মি.লি. প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতকে স্প্রে করা যেতে পারে। শিথ ব্লাইট রোগ দমনে হেক্সাকোনাজল বা ডিফেনোকোনাজল গ্রুপের যেকোনো ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মি.লি. হারে স্প্রে করা যেতে পারে। ব্লাস্ট রোগ দমনে প্রতি একরে ১৬০ গ্রাম হারে ট্রুপার প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া, বুটিং শুরুর ৫-৭ দিন আগে প্রতি বিঘায় ৫ কেজি করে পটাশ সার প্রয়োগে ফলন ভালো হয়।

 

 

হেক্টর প্রতি ফলনঃ

 গড় ফলন ৬.৫ টন/হেক্টর।

 

 

প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুনঃ

বিভাগীয় প্রধান (বায়োটেকনোলজি বিভাগ), বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২, মোবাইল: ০১৭২০-৫৮৫১২৪, ইমেইল: emonbina@yahoo.com ওয়েবসাইট: www.bina.gov.bd

 

 

চিত্র

 

 

 

চিত্র: বিনাধান ২৪ এর মাঠ