Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জুন ২০২৪

বিনাধান-২০

 

জাতের নামঃ
বিনাধান-২০
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

জিংক সমৃদ্ধ ধান, আকাড়া চালে ২৬.৫ পিপিএম জিংক বিদ্যমান

২০-৩১ পিপিএম আয়রণ বিদ্যমান

জীবনকালঃ ১২৫-১৩০ দিন

বাদামী গাছ ফড়িং এর প্রতি মধ্যম মাত্রায় প্রতিরোধী

চালের রং লালচে লম্বা ও চিকন।

জমি ও মাটিঃ
বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এই জাতের চাষের উপযোগী।
জমি তৈরীঃ
জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই।  
বপন ও রোপণের সময়ঃ
খরিফ-২ মৌসুমে অঞ্চলভেদে জুন মাসের  শেষ সপ্তাহ হতে মধ্য জুলাই (আষাঢ়ের ২য় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজতলায় বীজ ফেলে ৩০-৩৫ দিনের চারা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ হতে আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে ভাদ্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোপণ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। 
বীজ হারঃ
প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।
বীজ শোধনঃ
 প্রতি ১০ কেজি বীজে ২০-২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক। এছাড়া শোধনের জন্য বীজ ৫২-৫৫ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রার পানিতে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

প্রতি হেক্টরেঃ

ইউরিয়াঃ ১৯৫ কেজি, টিএসপিঃ ৫০ কেজি, এমওপিঃ ৭০ কেজি, জিপসামঃ ৫৫ ও জিংক সালফেট ৫.৫-৬ কেজি ।

প্রয়োগের নিয়মঃ

রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে  মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর   এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির  অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক। 

সেচ ও নিষ্কাশনঃ
স্বাভাবিক ভাবে আমন মৌসুমে বৃষ্টি নির্ভর অবস্থায় চাষ করা হয়। তবে দীর্ঘ অনাবৃষ্টির সময় ১-২ টি সম্পূরক সেচের প্রয়োজন হতে পারে ।
আগাছা দমন ও মালচিংঃ
চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে ।
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ
জমিতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমন দেখা দিলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল ও থায়মেনথক্সাম গ্রুপের ভিরতাকো ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জাতটি পাতা পোড়া রোগ মধ্যম প্রতিরোধী। রোগবালাই যেমন- খোলপচাঁ দেখা দিলে  হেক্সাকোনাজল বা ডাইফেনোকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি একরে ২০০ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া ব্লাস্ট রোগ দমনের জন্য ট্রুপার/ নাটিভো/ সেলটিমা একরে ১৬০ গ্রাম মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ
উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যায় গড় ফলন ৪.৫ টন/হেক্টর ও সর্বোচ ফলন ৫.৫ টন/হেক্টর ।

 

প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +৮৮০১৭১০৭৬৩০০৩

ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী

ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ

 

পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস)

বিনা, ময়মনসিংহ-2202

 

                                                     চিত্র: বিনাধান-২০ এর মাঠ

  চিত্র:  খোসা ছাড়ানো জিংক ও আয়রণ সমৃদ্ধ বিনাধান-২০