জাতরে নামঃ | ||||||||||||||||||||||||
বিনামুগ-৭ | ||||||||||||||||||||||||
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ | ||||||||||||||||||||||||
কান্ড ৩-৪টি শাখা বিশিষ্ট ও গাছ খাড়া পাতা হালকা সবুজ বর্ণের সমস্ত ফল প্রায় একই সঙ্গে পাকে বীজ গাঢ় সবুজ বর্ণের বীজে আমীষের পরিমান ২২.৩৩% পাতা হলুদ মোজাইক ভাইরাস ও সার্কোস্পোরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ডাল সহজে সিদ্ধ হয় ও সুস্বাদু |
||||||||||||||||||||||||
জমি ও মাটি ঃ |
||||||||||||||||||||||||
বেলে দো-আঁশ ও দো-আঁশ মাটিতে এ জাত বপনে অধিক ফলন পাওয়া যায়। বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে জমিতে পানি জমে গেলে দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হয়। | ||||||||||||||||||||||||
জমি তৈরীঃ | ||||||||||||||||||||||||
তিন-চারটি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরী করে বীজ বপন করতে হয়। | ||||||||||||||||||||||||
বপণের সময়ঃ | ||||||||||||||||||||||||
মুগডালের ফুল আসার সময় তাপমাত্রা ২৮-৩২°সেঃ থাকলে সবচেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায় এবং তাপমাত্রা ২৫° সেঃ এর নীচে গেলে ফুল ঝরে যায়। এজন্য মুগডালের বপন সময় অঞ্চলভেদে কিছুটা তারতম্য হয়। বরিশাল বিভাগের জেলাসমূহে মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষদিন (জানুয়ারীর তৃতীয় থেকে ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহ) পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে শেষ (মার্চ এর প্রথম থেকে শেষ সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে। বিলম্বে বপন করলে ফলন হ্রাস পায়। | ||||||||||||||||||||||||
বীজ হারঃ | ||||||||||||||||||||||||
হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ কেজি (একর প্রতি ১০-১২ কেজি) বীজ ছিটিয়ে/লাইনে বপন করতে হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১২ ইঞ্চি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২-৩ ইঞ্চি রাখতে হবে। | ||||||||||||||||||||||||
বীজ শোধনঃ | ||||||||||||||||||||||||
বপনের পূর্বে প্রতি কেজি বীজ ৩.০ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০/প্রোভ্যাক্স/বেভিষ্টিন ৫০ ডব্লিউপি দ্বারা শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হয়। | ||||||||||||||||||||||||
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ | ||||||||||||||||||||||||
দু’টি চাষ দেয়ার পর নির্ধারিত পরিমান ইউরিয়া, টিএসপি এবং এমপি সার ছিটিয়ে পূনরায় চাষ এবং মই দিতে হয়। অন্যথায় বীজ অঙ্কুরোদগমে ব্যাঘাত ঘটে। সমস্ত সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া বা অন্যান্য সারের মাত্রা তারতম্য করা যেতে পারে।
জীবাণুসার ব্যবহার করলে ইউরিয়া প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। এছাড়া উর্বর জমি হলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না।
প্রয়োগরে নিয়মঃ জমি তৈরীর শেষে চাষের আগে সম্পূর্ণ সার জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। |
||||||||||||||||||||||||
সেচ ও নিস্কাশনঃ | ||||||||||||||||||||||||
গ্রীস্মকালীন মুগ বপনের সময় জমি শুস্ক হলে সেচ প্রয়োগ করে জমিতে জো আসার পর চাষ দিয়ে বীজ বপন করতে হয়। বীজ বপনের পর জমি শুস্ক হলে ২০-২৫ দিন পর আরও একটি সেচ দিতে হয়। জমিতে পরিমিত রস থাকলে সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয় না। | ||||||||||||||||||||||||
আগাছা দমনঃ | ||||||||||||||||||||||||
চারা গজানোর পর জমিতে আগাছা দেখা দিলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছাগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হয়। এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়। | ||||||||||||||||||||||||
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ | ||||||||||||||||||||||||
বিনামুগ-৭ হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন। সাধারনত: কোন ছত্রাকনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। তবে ছত্রাকজনিত রোগের বেশী আক্রমণ হলে ডায়াথেন এম-৪৫ বা অন্য কোন উপযুক্ত ছত্রাকনাশক ফসলী জমিতে স্প্রে আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে। পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে ডায়াজিনন বা ম্যালাথিয়ন-৫৭ ইসি ইত্যাদি কীটনাশক মাত্রা অনুযায়ী স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়। | ||||||||||||||||||||||||
ফলনঃ | ||||||||||||||||||||||||
ফলন ক্ষমতা হেক্টর প্রতি ২৪০০ কেজি, তবে গড় ফলন ১৮০০ কেজি/হেক্টর। |
প্রয়োজনে সংশ্লষ্টি ফসল বিশেষজ্ঞ সাথে কথা বলুন |
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা) কলকরুনঃ +৮৮০১৭১০৮৭৯৮১৩ ই-মইেলঃ islamtariqul05@yahoo.com দায়িত্বপ্রাপ্ত র্কমর্কতার নাম ও পদবী ড. মো. তারিকুল ইসলাম প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২ |
চিত্র: বিনামুগ-৭ এর মাঠ
চিত্র: বিনামুগ-৭