Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনা মরিচ১

 

জাতের নামঃ
বিনা মরিচ১
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

এ জাতের মরিচের গাছ খর্বাকৃতির, গাছ খাড়া, পাতা গাঢ় সবুজ এবং চওড়া, ফল অনেক লম্বা (১১ সেমি.-১৬ সেমি. ও চওড়া।

পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ৪৫-৫৫ সেমি.

প্রতি গাছে মরিচের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫টি।

চারা লাগানোর ৩০-৩৫ দিন পর গাছে ফুল আসা শুরম্ন করে এবং পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়।

সাধারণত ৮-৯ বার ফল তোলা যায়।

জমি ও মাটিঃ 
জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে দো-অাঁশ মাটির উপযোগী।স্বল্প মাত্রায় অমস্ন (পিএইচ ৬.০-৭.০) মাটিতে ফলন ভাল হয় 
জমি তৈরিঃ
তিন থেকে চারটি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে জমি তৈরী করতে হবে।শেষ চাষের সময় সুপারিশকৃত মাত্রায় গোবর ইউরিয়া,টিএসপি, এমওপি এবং জিপসাম সার প্রয়োগ কতে হবে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য ২৫-৩০ সেমি.  নালার ব্যবস্থা রাখতে হবে। 
বপনের সময়ঃ
মধ্য অক্টোবর-এপ্রিল মাসে উৎপাদন সবচেয়ে ভাল হয়। উচুঁ জায়গায় প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায়।
বীজ হারঃ
ছিটিয়ে বপন করলে প্রতি হেক্টরে ৮০০-১০০০ গ্রাম। সারিতে চারা রোপন করলে প্রতি হেক্টর ৪৫০-৬০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। প্রতি হেক্টরের চারার সংখ্যা ৩৮০০০টি, একরে ১৫৫০০টি  এবং বিঘায় ৫০০০টি ।
বীজ শোধনঃ
বপনের পূর্বে ছত্রানাশক দিয়ে বীজ শোধন করলে অংকুরোদগমের হার বৃদ্ধি পায় এবং স্বাস্থ্যবান চারা পাওয়া যায়।
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
ইউরিয়া ও পটাশ সার তিন কিসিত্মতে (লাগানোর ১০-১৫ দিন ৪০-৫৫ দিন ও ৭০-৭৫ দিন পর) এবং টিএসপি সার জমি চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.০ টন গোবর, ১০০ কেজি জিপসাম এবং ১০ কেজি জিংক সালফেট প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
সেচঃ
চারা রোপনের পর হতে ৩-৫ বার সেচের প্রয়োজন হয়।
আগাছা দমন এবং মালচিংঃ
চারা লাগানোর পর সার ও পানি দেয়ার ফলে আগাছার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তখন আগাছা পরিষ্কার এবং মালচিং করা ।
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ
এ জাতটি এ্যানথ্রাকনোজ রোগ, থ্রিপস এবং জাপপোকার প্রতি সহনশীলতা লক্ষ্য করা যায়। চারা রোপনের পূর্বে ডিডি মিকচার বা ফুড়াডন-৫জি দ্বারা মাটি শোধন করে নিলে এ সকল রোগের প্রকোপ কমে যায়। 
ফলনঃ

উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে জাতের ফলন (গ্রিনচিলি) ৩০-৩৫ টন/হে. পাওয়া যায়।জাতটি স্থানীয় জাতের তুলনায় প্রায় ১৩০-১৪০% বেশি ফলন দেয়।