Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জুন ২০২৪

বিনাধান-১৩

 

জাতের নাম
বিনাধান-১৩
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ

পরিপক্ক অবস্থায় গাছের পাতা সবুজ থাকে।.

শীষের প্রায় সবগুলো দানাই পুষ্ট হয়।

গাছ হেলে পড়ে না।

ধান সূগন্ধি, উজ্জল কালো বর্ণের, বীজাবরণ শক্ত ও পুরু।

গাছের উচ্চতা ১৪০-১৪৫ সে. মি.।

১০০০ ধানের ওজন ১৩.২ গ্রাম।

জমি ও মাটিঃ

দেশের প্রায় সকল রোপা আমন অঞ্চলে উচুঁ বা যেসব জমিতে সব সময় পানি জমে থাকে না এমন জমিতে এ জাতটি চাষ করা যায়। বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি বিনাধান-১৩ চাষের উপযোগী।

জমি তৈরীঃ
অন্যান্য রোপা আমন ধান চাষের মতই জমি তৈরী করতে হবে।
বপণের সময়ঃ
আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ সপ্তাহ (মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই) থেকে বীজতলা তৈরী করে ৩০-৩৫দিন বয়সের চারা রোপন করতে হবে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আগষ্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রোপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হারঃ

প্রতি শতাংশ বা ২০০ বর্গমিটার বীজতলায় ৬ কেজি বীজ বপন করলে উৎপন্ন চারায় প্রায় ১ একর জমি রোপন করা যায়।
বীজ শোধনঃ

প্রতি ১০ কেজি বীজে ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ বা ব্যাভিস্টিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ

বীজতলার জন্য প্রতি একরে ইউরিয়া ২৬, টিএসপি ১৪ এবং এমওপি ২০ কেজি এবং রোপা ক্ষেতের জন্য ইউরিয়া ৬৬, টিএসপি ৩৫, এমওপি ৫০ কেজি, জিপসাম ৩৮ এবং দস্তাসার ১.৭ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ পরিমান টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও দস্তাসার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া চারা রোপনের পর তিন ধাপে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি রোপনের ৮-১০ দিন, দ্বিতীয় কিস্তি রোপনের ২৫-৩০ দিন এবং তৃতীয় কিস্তি রোপনের ৫০-৫৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। এলাকা ও জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সারের তারতম্য করা যেতে পারে। অত্যধিক উর্বর জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োগের দরকার নেই।

সেচ ও নিষ্কাশনঃ
এ জাতটি বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ করা যায়। তবে পানির খুব বেশি অভাব দেখা দিলে সেচের প্রয়োজন হতে পারে।
আগাছা দমন ও মালচিংঃ

বিনাধান-১৩ জাতটির পরিচর্যা অন্যান্যস্থানীয় জাতের মতই। চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী যন্ত্র বা হাতের সাহায়্যে আগাছা পরিস্কার ও মাটি নরম করতে হবে।

বালাই ব্যবস্থাপনাঃ
এ জাতটির পাতা পোড়া ও খোল পচাঁ রোগের আক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি। এছাড়া এটি প্রায় সব ধরনের পোকার আক্রমণ মোটামুটি ভালভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।
হেক্টর প্রতি ফলনঃ
ফলন হেক্টর প্রতি ৩.২-৩.৫ টন।

 

প্রয়োজনে সংশ্লষ্টি বিশেষজ্ঞর সাথে কথা বলুন ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

 (সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কলকরুনঃ +৮৮০১৭১০৮৭৯৮১৩

ই-মইেলঃ islamtariqul05@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত র্কমর্কতার নাম ও পদবী

ড. মো. তারিকুল ইসলাম

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

ক্রপ ফিজিলজি বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২

 

চিত্র: বিনাধান-১৩ এর মাঠ