জাতের নামঃ |
বিনা গম১ |
জাতের বৈশিষ্ট্যঃ |
লবণাক্ত মাটিতে পূর্ন বয়স্ক গাছের উচ্চতা ৬৭-৯০ সেঃমিঃ এবং অলবণাক্ত মাটিতে পূর্ন বয়স্ক গাছের উচ্চতা ৯৮-১০৪ সে.মি.। অরিকল গোলাপী রংয়ের। গাছের কান্ড, পাতাও শীষে মোমের আস্তরণ থাকে। জীবনকাল ১০৫-১১০ দিন। দানা ছোট ও বাদামী রংয়ের। ১০০০ দানার ওজন ৩৬.৬ গ্রাম। লবণাক্ত মাটিতে ফলন ২.২-৩.৫ টন/হে. ও গড়ে ২.৯ টন/হে. এবং অলবণাক্ত মাটিতে ফলন ৩.২-৪.২ টন/হে. ও গড়ে ৩.৮টন/হে.। |
জমি ও মাটিঃ |
বেলে দো-আঁশ এবং দো-আঁশ জমি গম চাষের উপযোগী। |
জমি তৈরীঃ |
৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে জমি ভালভাবে তৈরি করতে হবে। |
বপন ও রোপণের সময়ঃ |
নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ডিসেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত ( অগ্রাহায়ন মাসের ১ম সপ্তাহ হতে ৩য় সপ্তাহ) |
বীজ হার ঃ |
গজানোর ক্ষমতা শতকরা ৮০ ভাগ বা তার বেশি হলে হেক্টর প্রতি ১২০ কেজি (শতাংশে ৫০০ গ্রাম) বীজ ব্যবহার করতে হবে। |
বীজ শোধন ঃ |
বপনের পূর্বে প্রোভ্যাক্স-২০০ নামক ছত্রাকনাশক (প্রতি কেজি বীজে ৩ গ্রাম হারে) মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে। এতে বীজবাহিত রোগ দমন হয় এবং শতকরা ১০-১২ ভাগ ফলন বৃদ্ধি পায়। |
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ |
লবণাক্ত মাটিতে প্রতি হেক্টরে ২২০-২৬০ কেজি ইউরিয়া, ১২৫-১৫০ কেজি টিএসপি, ১২০-১৪০ এমওপি, ৬৫-৮৫ কেজি জিপসাম, ৬.০ কেজি করে জিঙ্ক সালফেট ও বরিক এসিড এবং অলবণাক্ত মাটিতে প্রতি হেক্টরে ৪০ কেজি ইউরিয়া ও ২০ কেজি এমওপি বাড়িয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের অর্ধেকসহ সমস্ত রাসায়নিক সার শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া সার বপনের ২০-২৫ দিন পরে ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.০ টন হারে পঁচা গোবর সার/ কম্পোস্ট ব্যবহার করা ভাল। গোবর সার/কম্পোস্ট ব্যবহার করলে গোবর সারে যে পরিমাণ বিভিন্ন খাদ্য উপাদান থাকে তা হিসাব করে সে অনুযায়ী রাসায়নিক সারের পরিমাণ কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে। গোবর সার জমি তৈরীর ২ সপ্তাহ আগে প্রয়োগ করতে হবে। |
সেচ ও নিষ্কাশনঃ |
বীজ বপনের ৩ সপ্তাহ পর ১টি এবং গমের থোড় আসার সময় আর একটি মোট ২ টি সেচ দিরত পারলে গমের ফলন ভাল হয়। |
আগাছা দমন ও মালচিংঃ |
চারা রোপনের পর আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী বা হাতের সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি নরম করে মালচিং করতে হবে । |
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ |
বপনের পর ১০-১২ দিন পর্যমত্ম পাখি তাড়াতে হবে। বপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে আগাছা দমনের জন্য নিড়ানী দিতে হবে। এফিনিটি প্রয়োগ করে চওড়া পাতার আগাছা দমন করতে হবে। ইঁদুরের আক্রমণ শুরু হলে ফাঁদ পেতে বা বিষটোপ দিয়ে দমন করতে হবে। পোকামাকড় দমনব্যবস্থাঃ জাতটি পোকামাকড় এর আক্রমণ প্রতিরোধী বিধায় দমন ব্যবস্থা খুব একটা প্রয়োজন হয় না। যখন বাতাসের আপমাত্রা বাড়া শুরু করে তখন জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিলে যেকোন স্পর্শ বিশ প্রয়োগ করা যেতে পারে। |
ফলনঃ |
লবণাক্ত মাটিতে ফলন ২.২-৩.৫ টন/হে. ও গড়ে ২.৯ টন/হে. এবং অলবণাক্ত মাটিতে ফলন ৩.২-৪.২ টন/হে. ও গড়ে ৩.৮টন/হে.। |
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন গম ফসল বিশেষজ্ঞ |
(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা) কল করুনঃ +৮৮০১৭১০৭৬৩০০৩ ই-মেইলঃ makazad.pbdbina@yahoo.com দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ বিনা, ময়মনসিংহ-2202
|
চিত্র: বিনা গম১ এর মাঠ