.
জাতের নামঃ |
বিনাটমেটো-১১ |
জাতের বৈশিষ্ট্য ঃ |
গাছের গড় উচ্চতা ১১৫-১৩০ সে.মি. পাতার রং হালকা সবুজ ফলের আকৃতি গোলাকার প্রতিটি গাছে ফলের সংখ্যা, ৪৫-৫০টি প্রতিটি ফলের ওজন, ৯০-১০০ গ্রাম চারা লাগানো হতে ফল পাকা পর্যন্ত সময়, ৭০ থেকে ৭৫ দিন ভিটামিন সি এর পরিমাণ, ২৪.৩৯ mg/১০০g fr.wt হেক্টর প্রতি গড় ফলন, ৯০ থেকে ৯৫ টন সেল্ফলাইফ, ২০ থেকে ২২ দিন |
জমি ও মাটিঃ |
চাষের জন্য দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি উপযোগি। |
জমি তৈরিঃ |
সাধারণত ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরী করতে হবে। শেষ চাষের সময় নির্ধারিত পরিমাণ গোবর সার ও টিএসপি এবং প্রয়োজনীয় মাত্রার এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া এবং অর্ধেক পরিমাণ এমওপি ও ফুরাডান ৫-জি ২ গ্রাম প্রতি বর্গমিটার জমিতে ছিটিয়ে দিয়ে জমি তৈরী করতে হবে। |
বপনের সময়ঃ |
আশ্বিন মাসের শেষ সপ্তাহে হতে কার্তিক মাসে মধ্য সপ্তাহ পর্যমত্ম (সেপ্টেম্বর শেষ সপ্তাহ থেকে মধ্য অক্টোবর) বীজতলায় বীজ বপন করতে হবে। কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে শেষ সপ্তাহ পর্যমত্ম (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে মধ্য নভেম্বর) একমাস বয়সী চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।তবে নভেম্বর শেষ সপ্তাহ মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত চারা রোপন করা যায়। |
বীজ হার ঃ |
প্রতি হেক্টরে ৩০০০০ টি, প্রতি একরে ১২৫০০ টি এবং প্রতি বিঘার জন্য ৩৮০০ টি চারা প্রয়োজন হয়। |
বীজ শোধনঃ |
বপনের পূর্বে ছত্রানাশক দিয়ে বীজ শোধন করলে অংকুরোগমের হার বৃদ্ধি পায় এবং স্বাস্থ্যবান চারা পাওয়া যায় |
সার ও প্রয়োগ পদ্ধতিঃ |
ইউরিয়া, টিএসপি,এমপি ও জিপসাম সার(২৪০, ১৬০, ১৬০ ও ১০০ কেজি) তিন কিসিত্মতে (জমি তৈরীর সময় সম্পূর্ণ জিপসাম ও টিএসপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি চারা লাগানোর ১৫ ও ৩৫ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.০ টন গোবর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। |
সেচ ও নিস্কাশনঃ |
চারা লাগানোর পর পর ঝরনা দিয়ে সেচ দিতে হবে এবং ১৫-৩৫ দিন পর বাকী অংশ সার প্রয়োগের পর সেচ দিতে হবে। |
আগাছা দমন এবং মালচিংঃ |
চারা রোপনের পর জমিতে আগাছা হলে নিড়ানী দিয়ে হালকাভাবে আগাছা পরিস্কার করে ফেলতে হবে এবং একই সময় মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। |
বালাই ব্যবস্থাপনাঃ |
কোন কোন ক্ষেত্রে কৃমি রোগ, গোড়া পঁচা রোগ ইত্যাদি দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে জমিতে চারা রোপনের পূর্বে ডিডি মিক্চার বা ফুরাডন-৫ জি দ্বারা মাটি শোধন করে নিলে এ সকল রোগের প্রকোপ কমে যায়। |
ফলন ঃ |
হেক্টর প্রতি ফলন ৮০- ৯৫ টন। |