বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় নালিতাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত। এই ইপজেলার মোট আয়তন ৩২৭.৬১ বর্গ কিলোমিটার এবং উপজেলাটি প্রায় ২৫.১৪ ও ২৫.০১ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০৫ ও ৯০.১৮ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। শেরপুর জেলার উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত এ উপজেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, দক্ষিনে শেরপুর জেলার নকলা ও শেরপুর সদর এবং পশ্চিমে ঝিনাইগাতী উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। মোট জনসংখ্যা ২,৫২,৯৩৫ জন। গারো, হাজং, হোডি, মান্দাই এবং কোচ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোক বাস করে। প্রধান নদী হলো ভোগাই,কাংসা, মালঝি, থালোং, খুসকি এবং ডুবলাখালী বিল। প্রধান টুরিস্ট স্থান হলো মধুটিলা, রাবার ড্যাম এবং ভোগাই নদীর তীর। কৃষিকাজ (৭০.০৬ %) হলো প্রধান জীবিকার উৎস এবং প্রধান ফসল হলো ধান, পাট ও সরিষা।
কার্যক্রম
পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে শেরপুর-নেত্রকোনা অঞ্চল উপযোগী বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, বিনা উদ্ভাবিত অধিক লাভজনক জাত ও প্রযুক্তির বানিজ্যিক সম্প্রসারণ এবং প্রধান কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষণ বাস্তবায়ন করা।
শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বল্পজীবনকাল বিশিষ্ট জাত ও তেল জাতীয় ফসল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলের উচু জমিতে চার ফসলী শস্য বিন্যাস ও নিচু হাওর এলাকার জন্য দুই ফসলী শস্য বিন্যাস প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা এবং এই অঞ্চলের কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করা।
বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের জাত ও নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিরুপন এবং সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বিনা উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, রোগ ও পোকামাকড় দমনের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ করা।
বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে বীজ উৎপাদন, চারা ও বীজ সহায়তা প্রদান, প্রদর্শনী স্থাপন এবং মাঠদিবস আয়োজন করা।
জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ফাইবার রাইস ও চিকন চালের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বারোমাসি, সুগন্ধিযুক্ত ও বীজবিহীন বিনালেবু-১ ও বিনালেবু-২ এর উদ্যোক্তা তৈরি ।
কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে যুগপৎভাবে আঞ্চলিক সমস্যাসমূহ সমাধান ও শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।