Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd এপ্রিল ২০২৪

বিনা ধান২৫

জাতের নাম:

বিনা ধান২৫

জাতের বৈশিষ্ট্য:

প্রিমিয়াম কোয়ালিটি / উন্নত গুণাগুণ (অতি লম্বা ও সরু) সম্পন্ন উচ্চফলনশীল, আলোক অসংবেদনশীল ও স্বল্প মেয়াদী (১৩৮-১৪৮ দিন) বোরো ধানের জাত।

এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, সরু ও মধ্যম,  রং গাঢ় সবুজ। ধান পরিপক্ক হওয়ার পরও ডিগাপাতা গাঢ় সবুজ এবং খাড়া থাকে।

এ জাতের গাছ লম্বা কিন্তু শক্ত হেলে পড়ে না । পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা ১১৬ সে.মি.।

প্রতি গাছে ১০-১২টি কুশি থাকে। ছড়ার দৈর্ঘ্য গড়ে ২৭.০ সে.মি. লম্বা। প্রতি শীষে পুষ্ট দানার পরিমাণ ১৫০-১৫৫টি। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ১৯.৭ গ্রাম।

ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৫.১ ভাগ এবং প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৬.৬ ভাগ। ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু ফলে বাজারমূল্য বেশি এবং রপ্তানী উপযোগী।

জমি ও মাটি:

বেলে দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ জমি এই জাতের চাষের উপযোগী। লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সকল উঁচু ও মধ্যম উঁচু (যেখানে দীর্ঘ দিন পানি জমে থাকে না) জমিতে এ জাতটি চাষ উপযোগী।

জমি তৈরী:

জাতটির চাষাবাদ পদ্ধতি অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল বোরো জাতের মতই।

বপণের সময়:

 বোরো মৌসুমে অঞ্চলভেদে নভেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরে ৩য় সপ্তাহ (অগ্রহায়ণের ১ম সপ্তাহ থেকে পৌষের ১ম সপ্তাহ) ।

বীজ হার:

প্রতি হেক্টর জমি চাষের জন্য ২৫-৩০ কেজি বা এক একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি এবং বিঘা প্রতি ৩-৪ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়।

বীজ শোধন:

ভাল ফলন নিশ্চিত করতে হলে ভাল, পুষ্ট ও রোগবালাইমুক্ত বীজ বাছাই করতে হবে। বপনের পূর্বে বীজ শোধন করা ভাল। বীজ শোধনের জন্য প্রতি ১০ কেজি বীজে ২০-২৫ গ্রাম প্রোভ্যাক্স / ভিটাভ্যাক্স-২০০ বা ব্যাভিস্টিন ২ গ্রাম হারে ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজ শোধনের জন্য মাত্রানুযায়ী ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একটি বদ্ধ পাত্রে ৪৮ ঘন্টা রাখা আবশ্যক।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতি:

বীজতলার জন্য

উর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরী করলে কোনরূপ সার প্রয়োজন হয়না। অনুর্বর ও স্বল্প উর্বর জমিতে  কেবল দুই কেজি পঁচা গোবর বা আবর্জনা সার প্রয়োগ করলেই চলে। চারা গজানোর পর গাছ হলুদ হয়ে গেলে  দু’সপ্তাহ পর প্রতি বর্গ মিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পর জমি থেকে পানি নিষ্কাশণ করা যাবেনা।

প্রতি হেক্টরে:

ইউরিয়া ১০০-১২০ কেজি, টিএসপি ৮০-১০০ কেজি ও এমওপি ৩০-৪০  কেজি।

রোপা ক্ষেতের জন্যঃ

প্রতি হেক্টরেঃ

ইউরিয়া  ২০০-২৩০ কেজি, টিএসপি ১০০-১২৫ কেজি, এমওপি ১২০-১৪০ কেজি, জিপসাম ৬৫-৮০ কেজি, জিংক সালফেট ৬.৭-৭.৫ কেজি

প্রয়োগের নিয়ম:

রোপার জন্য জমি তৈরীর শেষ চাষের আগে সম্পূর্ণ টিএসপি , এমওপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে চাষের মাধ্যমে মাটির সাথে ভালভাবে  মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সারের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ চারা রোপনের ৭-১০ দিন পর, এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ১৫-২০ দিন পর এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া পরিমাণ চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার প্রয়োগের ২/১ দিন আগে জমির  অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে আগাছা দমন করতে হবে। জমির উর্বরতা ও ফসলের অবস্থার উপর নির্ভর করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ মাত্রার তারতম্য করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে টিএসপি ও জিংক সালফেট সার একই সাথে প্রয়োগ করা যাবেনা। তাই এক্ষেত্রে একচাষ পূর্বে টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে এবং শেষ চাষের সময় ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার ছিটিয়ে প্রয়োগ করা আবশ্যক।

সেচ ও নিষ্কাশন:

চারা রোপনের পর থেকে জমিতে ৩-৫ সে.মি. এবং গাছ বড় হবাব সাথে সাথে পানির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে। জমিতে অধিক পানি জমে গেলে মাঝে মাঝে পানি বের করে জমি শুকিয়ে ফেলতে হবে এবং পরে আবার পানি দিতে হবে। তবে ধান গাছে থোড় আসার সময় অবশ্যই জমিতে ৩-৫ সে.মি. পানি থাকা প্রয়োজন। ধান পাকার ১০/১২ দিন আগে জমি হতে পানি বের করে দিতে হবে।

আগাছা দমন ও মালচিং:

 চারা রোপনের পর থেকে শুরু করে ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত জমিকে আগাছামুক্ত রাখতে হবে। হাত দিয়ে অথবা নিড়ানী যন্ত্র ব্যবহার করে  দু’বার  (১ম দফা ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পূর্বে একবার এবং ২য় দফা ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগের পূর্বে আর একবার) আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং মাটি নরম করে মালচিং করে দিতে হবে।

বালাই ব্যবস্থাপনা :

বিনা ধান-২৫ জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের তুলনায় অনেক কম। এ জাতটি মাজরা পোকার আক্রমন মধ্যম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। পোকার আক্রমন বেশি হলে ভাল ফলনের জন্য অবশ্যই বালাইনাশক প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

মাজরা পোকা দেখা দিলে, ক্লোরান্ট্রানিলিপ্রোল + থায়োমেক্সাম গ্রুপ এর কীটনাশক ৭৫ গ্রাম/হেক্টর হিসেবে, পাতা মোড়ানো পোকা ও চুঙ্গি পোকার জন্য ক্লোরান্ট্রানিলিপ্রোল গ্রুপের কীটনাশক ১.৩ কেজি/হেক্টর হিসেবে, বাদামি গাছ ফড়িং এর জন্য মিপসিন (৭৫ ডাব্লিউপি) (১.৩ কেজি/হেক্টর ) / প্লিনাম (৫০ ডাব্লিউপি) (০.৩ কেজি/হেক্টর) / এডমায়ার (২০ এসএল) (১২৫ মি.লি/হে.) ৫-৭ দিন পরপর দু’বার স্প্রে করতে হবে।  ধানের ব্লাস্ট রোগের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ট্রুপার (৫৩ গ্রাম/বিঘা) / নাটিভো (৩৩ গ্রাম/বিঘা) স্প্রে করতে হবে। তবে নেক ব্লাস্ট রোগের জন্য ধানের ফুল আসার পর্যায়ে ট্রুপার (৫৪ গ্রাম/বিঘা) / নাটিভো (৩৩ গ্রাম/বিঘা) অথবা ট্রাইসাক্লাজল গ্রুপের বালাইনাশক ৫-৭দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হবে। খোল পচা রোগের জন্য ফলিকিউর (৬৬ মি.লি./বিঘা) / স্কোর (৬৬ মি.লি./বিঘা) ৫-৭ দিন পরপর দু’বার স্প্রে করতে হবে। 

ফলন:

গড় ফলন ৭.৬ টন/হেক্টর এবং সর্বোচ্চ ফলন ৮.৭ টন/হেক্টর ।

 

প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন ধান ফসল বিশেষজ্ঞ

(সকাল ৯ টা-বিকাল ৫টা)

কল করুনঃ +৮৮০১৭৩১৫৫৬২৩২
ই-মেইলঃ sakina_khanam2003@yahoo.com

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবী
ড. সাকিনা খানম
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা, ময়মনসিংহ-২২০২।

চিত্র: বিনা ধান২৫ এর মাঠ

 

চিত্র: বিনা ধান২৫

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon