Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনাছোলা-১১

ফসলের নাম

:

ছোলা

জাতের নামঃ

:

বিনাছোলা-১১

জাতের বৈশিষ্ট্য

:

১।  গাছের পাতা গাঢ় সবুজ

২।  জীবন কাল ১২০-১২৫ দিন

৩।  বীজের আকার মাঝারী (১০০টি বীজের ওজন ২৩.৩ গ্রাম)

৪।  বীজের রং খড় বর্ণের

উপযোগী এলাকা

:

বেলে দো-আঁশ ও এটেল মাটিতে এ জাতের বপনে অধিক ফলন পাওয়া যায়। শুষ্ক জমি ছোলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলে বরেন্দ্র এলাকায় বিনাছোলা-১১ এর চাষে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

বপনের সময়

:

কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়ণ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ (অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিস্মেবরের প্রথম সপ্তাহ) পর্যন্ত বীজ বপন করতে হয়। বিলম্বে বীজ বপন করলে ফলন কমে যায়।

সার ও প্রয়োগ পদ্ধতি

:

শেষ চাষের সময় নিম্ণে উলেস্নখিত পরিমাণ সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

হেক্টর প্রতি ৩৫-৪৫ কেজি ইউরিয়া, ৮০-১২০ কেজি টিএসপি এবং ৫০-৭০ কেজি এমওপি, ৫০-৯০ কেজি জিপসাম ।

 

আগাছা দমন এবং মালচিং

:

চারা গজানোর ৩৫-৪০ দিন পর নিড়ানী দিয়ে সতর্কতার সাথে হাল্কাভাবে আগাছা উঠিয়ে ফেলতে হবে। শিকড়ে যেন কোন প্রকার আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।

বালাই ব্যবস্থাপনা

:

জাত গুলো গোড়া পঁচা ও গ্রে-মোল্ড রোগ সহনীয়। তবে ছত্রাকের মারত্মক আক্রমণ হলে ২ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে জমিতে বিকালে স্প্রে করতে হবে। বপনের পূর্বে ২.৫ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০/প্রোভ্যাক্স দ্বারা প্রতি কেজি বীজ শোধন করলে রোগের আক্রমণ কম হবে। একই জমিতে বার বার ছোলা চাষ করা উচিৎ নয়। তাতে গোড়া পঁচা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশী হলে ২৫ মিঃ লিঃ রিপকর্ড ১০ ইসি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।

 

হেক্টরপ্রতি ফলন

:

গড় ফলন-১৭০০ কেজি

 

চিত্র: বিনাছোলা-১১